রুট ও কাস্টম রম ইনস্টলের আরো ৭টি সুবিধা যা স্টক অ্যান্ড্রয়েডে পাবেন না! (Advanced)

Siyamul
SiyamulIslam (contributor)

Aug 21, 2025, 04:51 PM

4 Min

134

0

0


রুট ও কাস্টম রম ইনস্টলের আরো ৭টি সুবিধা যা স্টক অ্যান্ড্রয়েডে পাবেন না! (Advanced)

প্লে স্টোরে এজাতীয় অনেক সফটওয়্যার পাওয়া গেলেও এগুলো বেশি কার্যকরী না। সবাই এসব ধরে ফেলতে পারে। তাই ফাইন কন্ট্রোল পেতে চাইলে রুটেড ডিভাইসে সেইফটি নেট মডিউলের সাথে জিপিএস লোকেশন চেঞ্জ করতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। | Source: BlogForgeTM


অ্যান্ড্রয়েডে নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলে কাস্টম রম জিনিসটার নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন।

ম্যানুফ্যাকচাররা ডিভাইস যে রম ইনস্টল করে দেয়, সেটাকে বলে স্টক রম। কিন্তু স্টক রমের লিমিটেশন আছে, ওখানে অনেক অ্যাডভান্সড ফিচার লক করা থাকে যা নিয়ে উল্টাপাল্টা করলে ডিভাইস ব্রিকও করতে পারে। যদিও এখন এসবের ভয় অনেক কম, ম্যাজিস্কের কারনে।

তাই এখনোও অনেকেই android root করে, কেউ কেউ আবার কাস্টম রম ইনস্টল করে পুরো ফোনের সফটওয়্যারই পাল্টে ফেলে। কারন এগুলো শুধু এক্সট্রা ফিচারই থাকে না, এটি ৫ বছরের পুরাতন ফোনকেও আবার প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে।

চলুন আজকে দেখে আসি রুটিং ও কাস্টম রমের ব্যবহার করার আরো ৭টি সুবিধা যার জন্য আপনি রুটের দিকে ঝুঁকতে পারেন।

Read more: রুট ও কাস্টম রম ইনস্টল করার ৭টি সুবিধা যা আপনি স্টক অ্যান্ড্রয়েডে পাবেন না! (Basic)

#1 ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধি

বর্তমানে সব ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বেশি থাকে আর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। এমনকি কিছু ফোনে তো ১০০ ওয়াটের উপরে চার্জ নেয় যা একটা গড়পড়তা ল্যাপটপের চেয়েও বেশি! তাই আগের মত লো ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তাও আপনি যদি ব্যাটারি থেকে আরেকটু আউটপুট বের করতে চান তাহলে সেটাই সম্ভব কাস্টম কার্নেল দিয়ে। কার্নেল একপ্রকার সফটওয়্যার লেয়ার যা অ্যাপ্লিকেশনের সাথে হার্ডওয়্যারের সমন্বয় সাধন করে। স্টক থেকে কাস্টম কার্নেলে কিছু আলাদা অপটিমাইজেশন থাকে বিধায় পারফরমেন্স হালকা বৃদ্ধি পায় ও ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো পাওয়া যায়।

#2 জিপিএস স্পূফ

নানা কারনেই লোকেশন লুকোনোর দরকার লাগতে পারেঃ

  • রিজিয়ন-লকড কোনো কনটেন্ট দেখতে,
  • ডেভেলপারদের ক্ষেত্রে লোকেশন নির্ভর সার্ভিস টেস্ট করায়,
  • কিংবা নিরাপত্তাজনিত প্রয়োজনে

প্লে স্টোরে এজাতীয় অনেক সফটওয়্যার পাওয়া গেলেও এগুলো বেশি কার্যকরী না। সবাই এসব ধরে ফেলতে পারে। তাই ফাইন কন্ট্রোল পেতে চাইলে রুটেড ডিভাইসে সেইফটি নেট মডিউলের সাথে জিপিএস লোকেশন চেঞ্জ করতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

#3 Kali Net Hunter

নেট হান্টার একটি পেনেট্রেশন টেস্টিং প্ল্যাটফর্ম যা মূলত কালি লিনাক্স থেকে এসেছে। এটি বিভিন্ন সিস্টেমের নিরাপত্তাজনিত দূর্বলতা খুঁজে বের করা, পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা, ও একটা ডিভাইস থেকে ডাটা বের করে বিশ্লষণসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও নেট হান্টার চালাতে android root লাগে না, কিন্তু কিছু অ্যাডভান্সড অপারেশন, যেমন nMap নেটওয়ার্ক স্ক্যানিং, হার্ডওয়্যার লেভেল অ্যাক্সেসের জন্য রুট পারমিশন থাকা উত্তম।

এই নিয়ে বিস্তারিত ট্রিকবিডিতে পোস্ট পাবেন। আমি দু’টির লিঙ্ক দিচ্ছিঃ

টারমাক্স এ কালি নেটহান্টার ইন্সটল করুন এবং রান করুন।

Kali NetHunter সেটআপ করে Android কে PC বানিয়ে ফেলুন।

#4 Camera 2 API চালু করার সুযোগ

আমার android root করার একটা প্রিয় কারন হল Camera 2 API. এটি অন থাকলে ক্যামেরার হার্ডওয়্যারের পূর্ণ সুবিধা নেয়া যায়, আর জিক্যামের অ্যাডভান্সড ফিচার ইউজ করা যায়। এটির কারনে ম্যানুয়াল অনেক কন্ট্রোল পাওয়া যায়, লো লাইটে আরো ভালো ছবি তোলা যায়, এমনকি raw image ও ক্যাপচার করা যায়। শাওমি ফোনগুলোতে জিক্যামের অনেক কদর আছে কারন ওদের হার্ডওয়্যার ভালো হলেও সফটওয়্যার সুবিধার না। তখন জিক্যাম ইনস্টল করে ভালো আউটপুট পাওয়া যেতো।

আরো পড়ুনঃ অন্ধকারে ছবি তুলুন,আলোর মত>কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিন Google Camera দিয়ে

#5 Boot animation পরিবর্তন করা সুবিধা

যদিও খুব বেশি নার্ড না হলে এগুলো নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। মানুষ ফোন রিস্টার্ট দেয়ই কয়বার? তাও যদি আপনি স্টক বুট স্ক্রিন পরিবর্তন করতে চান, সেটা একমাত্র রুট করেই সম্ভব। একসময় এই কাজের জন্য আলাদা অ্যাপস পাওয়া যেতো। আর কাস্টম রম ইনস্টল করলেও ঐ রমের ধরন অনুযায়ী আলাদা বুট লোগো শো করে। ছোট্ট একটা ব্যাপার কিন্তু আমার মতো অনেকেরই এসব পরিবর্তন ভালোই লাগে।

 

#6 ওভারক্লক করার ব্যবস্থা

Overclocking বলতে সিপিউর বর্তমান স্পিড থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি স্পিডে রান করাকে বুঝায়। যেহেতু সিপিউ বেশি স্পিডে কাজ করে, তাই ফোনের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ফোনের বিভিন্ন কাজকর্ম আরো স্মুথ হয়, যেমনঃ

  • গেমসে ফ্রেমরেট বেশি পাওয়া যায়
  • ভিডিও রেন্ডারিং টাইম কমে আসে
  • সব অ্যাপস ফাস্ট রেসপন্স করে

তবে এটার একটা লিমিট আছে কারন না বুঝে সেইফ লিমিটের বাইরে OC করলে ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হয়ে স্পিড উল্টো কমে যায়। একারনে অবশ্যই স্টক অ্যান্ড্রয়েডে এটা করা যায় না। তাই ওভারক্লকিং একটু অ্যাডভান্সড লেভেলের কাজ যা বুঝে শুনে করতে হয়। তবে ইদানিং কিছু গেমিং ফোনে OC করার অপশন দেখা যাচ্ছে।

#7 Titanium Backup

টাইটেনিয়াম ব্যাকআপ একটা ওজি সফটওয়্যার। এটা দিয়ে ডিভাইসের সব রকমের অ্যাপস, সেটিংস, ফোল্ডার, কনফিগারেশন ফাইল ইত্যাদি ব্যাকআপ রাখা। এমনকি এক মোবাইলের সেভ করা গেমস রিস্টোর করা যায় অন্য ফোনে, কোনো ইন্টারনেট কানেকশন বা ক্লাউড ব্যাকআপ ছাড়াই! বলা বাহুল্য, অ্যাপ ডাটা অ্যাক্সেস করতে ডিভাইস রুট থাকতে হবে।

টাইটেনিয়াম ব্যাকআপ দিয়ে কিভাবে ডাটা ব্যাকআপ করবেন তা জানতে বিস্তারিত দেখুন এই পোস্টেঃ

এবার ফোন Reset দিন,Custom rom ইন্সটল করুন, ফোন Flash দিন কোনো App+Data না হারিয়েই

দিনশেষে সবেরই ভালো মন্দ আছে। আপনি কতটুক মানিয়ে চলতে পারবেন সেটা হল বিবেচনার বিষয়।

আজ এপর্যন্তই। দেখা হবে আরেকদিন।

Share:

Author

Siyamul Islam

About contributor

You should write because you love the shape of stories and sentences and the creation of different words on a page.

View All Posts (25)

0 Comments

Author image

You must be to post a comment.